“তিন ইঞ্চি মাটি”

0
1677

নাহিন শিল্পী

এটেল মাটির আটানো বাঁধন শেকড়ের টান ছেড়ে দিতে চায় না কিছুতেই। একদিন ঘুঘু চড়া ভিটেয় স্বাড়ম্বরে দিন কেটেছে পুর্বসূরীদের;স্মৃতি গুলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে যায়,,,, পুবের গোয়ালে ডজন ডজন গরু আর তারও ডান পাশটায় উপচে পড়া ধানের মাঁচা। বাড়ীর নামায় ছোট্ট পুকুর ঘাটের মুখে বাঁধা নৌকা, উত্তরের খলাটা, এখনো যেন চোখ বুজলে গ্রীষ্মের খর রোদে ঝকমকিয়ে উঠে সোনালি ধানের খনি। খোলা আকাশের নীচে গর্ভধারিণী রত্নমা; চক্রান্তের বেড়াজালে ফেলে চিনিয়ে নিয়েছে তাকেও লোভী দখলদার। আছে ঢের আরও যে চাই তাদের। পশ্চিমের ভিটার দক্ষিণ পাশটা যতটুকু চাই ততটুকুই ছাড়তে হবে !! নইলে যে অবশেষে— দিতে হবে প্রাণটাও। আছে কি কেউ প্রতিবাদী নিরস নীতিবান চেয়ে দেখ তোমরা ক্ষমতার হাতে কি করে হয় প্রাপ্য,সত্য আর ন্যায়ের বলিদান!! দিনের উজ্জ্বল আলোয় জুচ্ছোড়ের চলার গতি কি নিমর্ম ভাবে ভেঙ্গে দেয় নিরীহের বুকের পাঁজর। তোমরা কি পাও সেই ভাঙ্গনের শব্দ ? হয়তো পাও বলবেনা , কারণ বিশাল আকাশের বজ্র যে বেছে নিয়েছে সর্বহারার শেষটুকুও।। তবে শোন কাপুরুষেরা যে অবিচারী দাম্ভিকের পায়ের তলায় বিছিয়ে দিয়েছ তোমাদের পীঠ— জলান্জলি দিয়েছ তোমার মনুষ্য বিবেক সেই পাপীষ্ঠের পাপে তুমিও হবে সমপরাধী। শোধ দিতে হবে সমানে সমান। বেড়িয়ে এসো নষ্টামির মোহ ভেদ করে আর ভেঙ্গে দাও অন্যায়কারী,অত্যাচারীর নোংরামীর ভিত্। নইলে তোমার বুকের হৃদপিন্ডের তিন ইঞ্চিও যে কেড়ে নেবে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে— নির্লজ্জ মুনাফিক।

০১/১১/২০১৭ইং, মুগদা,ঢাকা।)

মন্তব্য করুন