হালুয়াঘাট সিমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু, সুপারীসহ কয়েক কোটি টাকার মাদক আসছে

0
1896

স্টাফ রিপোটার : ময়মনসিংহ জেলার সিমান্তবর্তী হালুয়াঘাট সিমান্ত দিয়ে মাসে ভারতীয় গরু, সুপারীসহ কয়েক কোটি টাকার মাদক দেশে আসছে । ছোট ছোট ১৫/১৬টি চোরাচালান দল রাতব্যাপী সিমান্তের ওপার থেকে গরু, সুপারী, মদ, গাজা, হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার করে দেশে আনছে। সিমান্তরী ও স্থানীয় পুলিশের তাদের মাসোহারা চুক্তি রয়েছে বলে জানাগেছে । অভিযোগ রয়েছে বর্ডার গার্ড ও পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে রাত জেঁগে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলে। চোরাচালানিতে সুপারী ব্যবসায়ী ময়মনসিংহের স্বদেশী বাজারে জনৈক বাবুর নামই বেশী। সীমান্তে তার একক আধিপত্য রয়েছে। বাজারেও রয়েছে তার নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা ।

সুপারী, গরু ব্যবসায়ীদের আটক করতে বডার গার্ড ও থানা পুলিশের অনিহা রয়েছে । ফলে সুপারী, গরু ও মাদক ব্যবসায়ীদেরও রয়েছে বিশেষ তৎপরতা। হাতের নাগালেই মিলছে মাদক। বডার গার্ডও ইতিপূর্বে কিছু গরু আটক করেছিল । সুপারী আটক হয়নি। জানাগেছে জনৈক চিত্ত হাত নাকি অনেক লম্বা। সব দরবারেই নাকি তার আসাযাওয়া রয়েছে। মাসে তিনিই নাকি কোটি টাকার সুপারী আনেন চোরাই পথে। আনেন রাসায়নিক পদার্থ। যাদিয়ে সুপারীর মান উন্নয়ন করা হয়। আর এই রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই বোমা ও পটকা বানানো হয়। মাত্র কয়েক বছরেই জনৈক চিত্ত এ শহরে ভিত্তশালীদের একজন। এ জেলায় সুপারী ব্যবসায়ীর ৪ জনের লাইসেন্স রয়েছে।

স¤প্রতি জেলা গোয়েদা পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার হালুয়াঘাট-নালতাবাড়ী সড়কের মাদানীনগর নামক স্থান থেকে ২ শত গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী ফারুক খান ওরফে ডাইল ফারুককে আটক করেন। এবং পৃথক স্থান থেকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ রশিদ ও কালু নামক মাদক ব্যববসায়ীকে আটক করেন ডিবি পুলিশ। ভূবনকুড়া ইউনিয়নের তেলীখালী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল ও আঁচকিপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনকে ফুলপুরের ঠাকুরবাখাই বাসস্টেন্ড এলাকা থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ২৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ এবং ১২ বোতল ভারতীয় মদসহ ডুমনিকুড়া গ্রামের উপজাতি স¤প্রদায়ের আপোস রিছিলের পুত্র মিকাইল রিছিল শিপন নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে থেকে আটক করেন ফুলপুর থানা পুলিশ। জানুয়ারি মাসে অত্র থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু হয়েছে ৪ টি।

সীমান্ত এলাকায় কিছু চি‎িহ্নত স্পট দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সুপারী, গরু ও মাদক দ্রব্য হালুয়াঘাটে প্রবেশ করে। তেলিখালী, ধনভাঙ্গা, মহিষলেঠি, কোচপাড়া, বানাইচিড়িংগীপাড়া, কড়াইতলী, গোবরাকুড়া, আইলাতলী, কাটাবাড়ী,সূর্যপুর, শিমুলকুচী, ডাকিয়াপাড়া ও বান্দরকাটা তন্মধ্য অন্যতম স্পট। প্রতিদিন শতাধিক চোরাচালানীর আড্ডা থাকে হালুয়াঘাট মধ্য বাজারে সিনেমা হলের সামনে। রাতভর কাজ শেষে নাস্তা খেয়ে পরেই বাড়ি ফিরে চোরাচালানীরা। এদের সংখা শতাধিক হবে বলে স্থানীয়রা জানায়।
হালুয়াঘাটে মাদক দ্রব্য সহজলভ্য হওয়াই মধ্য বয়স্ক থেকে শুরু করে স্কুল/ কলেজ, ছাত্র/ছাত্রী, কিশোর-তরুণেরা এ মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। মহল­ায় মহল­ায়, অলিতে গলিতে প্রতিনিয়তই জমজমাট মাদকের ব্যবসা বেড়েই চলছে ।
স্থানীয়রা জানায় মাঝে মাঝে ছোটছোট মাদক ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশ ধরলেও মাফিয়ারা থেকে যাচ্ছে লোক চুর অন্তরালে।

মন্তব্য করুন