ময়মনসিংহ পতিতা পল্লীতে অভিশপ্ত যৌন জীবন বেড়েই চলেছে

0
6588
প্রতীক

নতুন বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডি-আইজি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জেলাবাসী

জাহিদুল ইসলাম জীবন : ময়মনসিংহ পতিতা পল্লীতে শিশু ও কিশোরী যৌনকর্মীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দালালরা নানা কৌশলে দরিদ্র-অসহায় মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পতিতা পল্লীতে এনে সেখানকার সরদারনীদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। পরে সরদারর্নীরা ওইসব মেয়েদেরকে দিয়ে জোর পূর্বক দেহ ব্যবসা করিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করে নিচ্ছে।

স¤প্রতি ময়মনসিংহ অভিযান চালিয়ে যৌনপল্লী থেকে কয়েকজন কিশোরী মেয়ে উদ্ধার করেছে। এ অভিযানে এখন ভাটা পড়েছে।

পতিতা পল্লী এক কিশোরী জানায়, ‘গার্মেন্টসে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মামা এনামুল আমাকে ময়মনসিংহ পতিতা পল্লীতে এনে বিক্রি করে পালিয়েছে।’ সে আরো জানায়, পল্লীতে তার মতো আরো অনেক শিশু ও কিশোরী রয়েছে। তাদের জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট সরদারর্নীরা প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, এই যৌনপল্লীতে বর্তমানে প্রায় আনুমানিক তিন থেকে চার হাজার যৌনকর্মীর বসবাস। তাদের মধ্যে সহ¯্রাধিক শিশু ও কিশোরী যৌনকর্মী রয়েছে। তারা আরো জানায়, পল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালীদের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে উঠেছে বিশাল এক দালালচক্র। তারাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা কৌশলে গরীব ও অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌনপল্লীতে এনে বিক্রি করে দেয়।

যৌন ব্যবসায়ী পতিতাপল্লীর সরদারনীরা ময়মনসিংহ পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নিজস্ব অর্থায়নে বাড়িঘর তৈরি করেছে। যৌনপল্লীর পাশাপাশি তারা সেখানে বসবাসও করে। যৌন ব্যবসার পাশাপাশি নারীপাচার কাজেও তারা তাদের গ্রামের ওই সব বাড়িগুলো ব্যবহার করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দালালরা কোনো মেয়েকে সরাসরি পতিতাপল্লীতে না নিয়ে পল্লীর বাইরে থাকা সরদারর্নীদের নিজস্ব বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুই-তিন দিন আটক রাখে। এসব কাজ করতে রাজি না হলে দুই-তিন খাবার দেওয়া হয়না তাদের। খাবার না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে এসব কাজে জড়িয়ে পড়ে। তখন তাদেও নিয়ে আসা হয় যৌন পল্লীর অন্ধকার ঘড়ে।

এভাবে দালালরা প্রতিমাসে প্রায় ২০-৩০ জন নতুন শিশু ও কিশোরীকে নিষিদ্ধপল্লীর বাসিন্দায় পরিণত করছে। আর এভাবেই বেড়ে চলেছে যৌনকর্মীর সংখ্যা। বেড়েই চলেছে পল্লীর অভিশপ্ত যৌন জীবন।

এদিকে, নতুন বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডি-আইজি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জেলাবাসী।

এ ব্যাপারে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘যৌনপল্লী থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের উদ্ধার ও দালালদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সার্বক্ষণিক সচেষ্ট রয়েছে। (চলবে)

 

 

মন্তব্য করুন