ময়মনসিংহ জয়নুল আবেদীন পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ-প্রশাসনের সু-দৃষ্টি প্রয়োজন

0
8777

স্টাফ রিপোটার : নিরাপদ ‘ডেটিং কুঞ্জ’ হিসেবে পরিচিতি এখন ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যান। ব্রহ্মপুত্র নদের উপকণ্ঠে শত বছরের প্রাচীন এই সাহেব কোয়ার্টার পার্কে প্রেমিক জুটির অন্তরঙ্গ সময় কাটানো নৈমিত্তিক ঘটনা এখন।

পার্কের ফুলের বাগান, বসার পাকা বেঞ্চ, নদীর ওপারেসহ এখানে-সেখানে দলে দলে তরুণ-তরুণীরা, স্কুলের ড্রেস পড়া ছেলে-মেয়েরা নিশ্চিন্তে হাতে হাত রেখে সময় কাটানোর মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে অবাধে অসামাজিকতা ও অশ্নীলতার পথ বেছে নেয়ায়, বিষিয়ে উঠেছিলেন সাধারণ দর্শনার্থীরা। তবে প্রকাশ্য অসামাজিকতার এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ না করে নিজেকে গুটিয়ে নেই অনেকে। বম্মপুত্র পারে কিছু সংখ্যক নৌকার মাঝি বাড়তি টাকা ইনকাম করার জন্য নিজেদের নৌকায় উঠিয়ে নির্দিষ্ট একটি নীরব স্থানে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুটি নামিয়ে দেয়। তারা অবাধে মিলামেশা করে থাকে। এগুলো ছবি তুলতে গেলে নৌকা মাঝিরা বলে এসব ছবি তুলে লাভ কি? আমরা সবাইকে ম্যানেজ করি।

পার্কের ভিতরে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করলে অনেক ছেলে মেয়ে স্থান ত্যাগ করে। কিছু যুবক এবং যুবতিদের প্রশ্ন করলে তারা জানান, আমরা এখানে আনন্দ উপভোগ করতে এসেছি। তাছারা পার্কের আশেপাশে রিক্সায় বেড়াতে দেখা যায় যুবক এবং যুবতিদেরকে। যারা রিক্সার মধ্যে বসেই অসামাজিক কাজ করে। রিক্সাওয়ালাদের প্রশ্ন করলে তারা জানান, আমাদের ডাবল ভাড়া দেয় আর তারা রিক্সায় বসে ফুর্তি করে চলে যায়।

ফলে প্রতিনিয়তই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতো পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল আনন্দের পরশ পেতে এ উদ্যানে আসা মানুষজনকে। অনেক পরিবার এসব পার্কে লজ্জিত হয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয়, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে নিয়মিতই উদ্যানে আসা কাঁধে ব্যাগ আর ড্রেস পরিহিত শিার্থীরা। ড্রেসে পড়া অবস্থায় মেলামেশা করছে।

পার্কের পাশে থাকা স্থানীয়রা জানান, এসব অসামাজিক কাজ এখানে প্রায় হয়ে থাকে। তবে তারা জানান পার্কের কর্তৃপ এবং প্রশাসন যথাযথভাবে পদপে গ্রহনের মাধ্যমে এসব অশ্নীল আর অসামাজিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব হতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন