মাচায় টমেটো চাষে গোদাগাড়ীর কৃষকের সাফল্য !

0
1645

শামসুজ্জোহা বাবু, গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষিতে দ্রæত বিকাশে একটি সমৃদ্ধ জনপদ। ধান গম ইত্যাদি ফসলের পাশপাশি সবজি আবাদেও অত্র এলাকা দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে রাজাবাড়ী থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে ঈশ্বরীপুরের চৈতন্যপুর গ্রামের কৃষক জিয়ারুল নিজের বাড়ির সম্মুখে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি পরিকল্পিত কৃষি খামার।
প্রায় ১০ বৎসর ধরে জিয়ারুল কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করছেন। এ মৌসুমে নিজের খামারে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মাচায় টমেটো চাষ করছেন। তার এই দৃষ্টি নন্দন টমেটো বাগান দেখে আশেপাশের সবাই অভিভূত।এই এলাকার বঙ্গ বন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত মনিরুজ্জামান মনিরের দেখে উৎসাহিত হন জিয়ারুল।মনির প্রায় ১০-১২ বিঘা মাচায় টমেটো চাষ করত। বড় বড় পাকা টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে ডাল উচ্চ ফলনশীল এই টমোটো চাষ তাঁকে এনে দিয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও খ্যাতি। প্রতিদিন দূরদূরান্তের অনেক লোকজন তার এই টমেটো বাগান পরিদর্শন করতে আসছেন। কারণ এই টমেটো গাছেই পাকে এবং সরাসরি গছ থেকে নামিয়ে বিক্রি করা হয়। বিষ মুক্ত এই টমেটো স্বাদে অনন্য ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এই টমেটোর গাছ অন্য টমেটোর চেয়ে ২ মাস বেশী স্থায়ী হয় এবং ফলন দিগুন।গাছের চারা লাগানোর পর থেকে ৬০ দিনের মাথায় ফুল ধরে,ফুল আসার ২৫ দিন পর টমেটো উত্তল করা যায়।
এই ধরনের উদ্যোগ বাণিজ্যিক কৃষির একটি সফল দৃষ্টান্ত। কৃষক জিয়ারুল বলেন, প্রতিদিন তে থেকে টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারগুলোতে ভাল দামে বিক্রি করতে না পেরে রাজশাহী শহরে নিয়ে বিক্রি করে এবং গত মৌসুমে এই টমেটো চাষ থেকে কমপে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করেছেন। ভাল ফলনের জন্য তিনি সুষম সার এবং নিজ খামারে উৎপাদিত জৈব সার ব্যবহার করে থাকি। বাজার দর বেশী পেলে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে। স্থানীয় ভাবে
ইশ্বরী পুরের কৃষি স¤প্রসারণ অফিসার অতনু সরকার বলেন, “এই ধরণের বাণিজ্যিক কৃষি বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত করতে সাহায্য করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন ভূঁইয়া জানান “জগন্নাথপুরের কৃষি আজ বাণিজ্যিক ধারায় প্রবেশ করেছে। মাঠ পর্যায় উদ্ধুদ্ব করণ কর্মসূচীর ফলে তার মত আদর্শ কৃষক তৈরী হয়েছে। অত্র এলাকায় জনাব আজাদ একজন অনুসরনীয় কৃষক। টমেটো ছাড়াও তার খামারে সীম, বেগুন ইত্যাদি সবজি চায় হয়ে থাকে, রয়েছে বিভিন্ন আধুনিক ফলগাছের সমাহার”।
কৃষক হাজী আজাদ হোসেন জানান, তাঁর জমিতে উৎপাদিত সবজিকে বিষ মুক্ত রাখতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অন্যান্য অনেক কৃষককে তিনি পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেন। তিনি আরো জানান কৃষি উপসহকারী ও কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাকে সার্বনিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
অত্র এলাকার আরও দুইজন সবজি চাষী ফখর উদ্দিন এবং ফারুক মিয়া জানান, “তাঁর কৃষি খামার পরিদর্শন করে আমরা আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্বন্ধে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তাঁর এই কলাকৌশল গুলো আমাদের খামারে প্রয়োগ করে লাভবান হব বলে আশা রাখি”।

 

 

মন্তব্য করুন