প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় পাল্টে যাচ্ছে বরুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ

0
1060

ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাটঃ একজন আদর্শিক ও দায়িত্বশীল প্রধান শিক্ষকের ভূমিকায় পাল্টে যাচ্ছে বরুয়াজানী হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামগ্রিক দৃশ্যপট। প্রধান শিক্ষক হিসেবে এ কে এম কাজী নজরুল ইসলাম গত ২০১১ সালের ৫ মে তারিখে দায়িত্ব বুঝে নেন। এরপর থেকেই লেগেছে বিদ্যালয়টিতে উন্নয়নের ছোঁয়া।জানা যায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবেও রয়েছে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য।তারসাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টায় প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন। নিজেই বিদ্যালয়ের সকল কিছু তদারকি করে থাকেন। ভিজিট করেন নিজেই। অনেক সময় নিজেই ময়লা পরীস্কার করে থাকেন।নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং করা, বাগান করা, শিক্ষার্থীদের জন্যে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, প্রতিটি জাতীয় প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করাসহ সকল দায়িত্বগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করে থাকেন। তিনি জানান, জাতীয়করনের জন্যে ৫ টি প্রতিষ্ঠানের ভিজিট তালিকায় বরুয়াজানী হাসান উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে।

নালিতাবাড়ি উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে, হালুয়াঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার প্রশ্চিমে আর গারোপাহাড় থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত বরুয়াজানী হাসান উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬৭ সালে স্থাপিত। ভাল পাঠদান, অতুলনীয় ফলাফল, বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীসহ সব মিলিয়ে নজর কেঁড়েছে সকলের। শহরের বাহির এলাকায় একমাত্র সুনাম কুঁড়িয়েছে যা। ৮ শত শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখা নিয়ে ত্রিধারায় চলে শিক্ষা কার্যক্রম। ২০১৭ সালে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবেও সুনাম কুঁড়িয়েছে। গত জে এস সিতে ৯৪.৭৭%, এসএসসিতে ৯৭.৮% ফলাফল অর্জন করে। A+ ৯ জন, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ৩ জন। অন্যান্য বছরের ফলাফলও ভালো। প্রধান শিক্ষক জানান, জাতীয়করনের জন্যে একমাত্র দাবীদার এই বিদ্যালয়টির। কোন দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। শিক্ষার্থীর তুলনায় আরও কমপক্ষে একটি ভবন নির্মাণ করা জরুরি। তার দাবী বিদ্যালয়টি জাতীয়করনসহ আরও কিছু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে দেয়া।

মন্তব্য করুন