গফরগাঁওয়ে আয়োজন করা হয়েছে হা-ডু-ডু খেলা

0
1851

এক যুগ আগেও স্কুল-কলেজ ও জেলা পর্যায়ে আয়োজন করা হতো বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। কালের পরিক্রমা আর আধুনিক খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হা-ডু-ডু। জাতীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আয়োজন করা হয় এ খেলার। আর এতে স্থানীয় জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান আয়োজকরা।

আয়োজকরা জানান, হা-ডু-ডু খেলার জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে স্থান করে নিয়েছিল বিদেশি ক্রীড়া অঙ্গনেও। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর আধুনিক সব খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি। হারানো  ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ উত্তর নয়াপাড়া নতুন বাজারের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা।

গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাজার সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা। খেলায় দর্গাবাড়ি গফরগাঁও টিম চরকমরভাঙ্গা নান্দাইলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মো. তুহিন। পরে সন্ধ্যায় চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ২৪ ইঞ্চি এলইডি ও রানারআপ দলের হাতে ১৭ ইঞ্চি এলইডি টিভি তুলে দেন অতিথিরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান, চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাছুদুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

খেলা পরিচালনা করেন গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাই স্কুলের প্রাক্তন শরীর চর্চা শিক্ষক আব্দুল জলিল ও মোবারক হোসেন।

খেলা দেখতে দুপুর থেকেই খেলার মাঠে উপস্থিত হন হাজারো জনতা। দীর্ঘদিন পর খেলা উপভোগ করতে পেরে খুশি দর্শকরা।

এলাকার স্কুলছাত্র ইয়াছিন ফরাজি জানায়, আমি আগে কখনও এই খেলা দেখিনি। বাবা-মায়ের কাছে হা-ডু-ডু খেলার কথা শুনেছি। খেলাটি দেখে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি।

উদীচী গফরগাঁও উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রোবেল মাহমুদ বলেন, যখন ছোট ছিলাম তখন দেখেছি হা-ডু-ডু খেলার জনপ্রিয়তা কতটা ছিল। মানুষ এ খেলা দেখার জন্য পাগল ছিল। এ খেলাটি এক সময় মানুষের প্রাণের খেলা ছিল। এখনও খেলাটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য সরকারে পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

উত্তর চরমছলন্দ নয়াপাড়া নতুন বাজার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মিয়া জানান, জাতীয় এ খেলাটির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই তাদের এ আয়োজন। আগামীতেও তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য করুন