গর্ভধারিনী মা আয়েশার পরিবারে, মানবিকতার চিহ্ন এঁকে দিলেন এসপি- আহমার

0
563
মানুষের তরে বিলিয়ে দবো মরি, এ দেহ প্রাণ। মানুষ তত্ত্বের এই গানের লাইনের অন্তরালে লুকিয়ে আছে মানুষ মানুষের জন্য। যে কোনো বিপদ কালীন সময়ে যে বা যারা পাশে এসে দাঁড়াই তারাই কিন্তু প্রকৃত বন্ধু।
কোভিড-১৯ এর এই প্রাদুর্ভাবে জনজীবন বর্তমানে স্থবির বলাই চলে। দেশের শহর থেকে গ্রামে অনেক পরিবার আছে যারা নাকি নিতান্তই কষ্ট ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করে চলেছেন।
তাদেরই একজন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের গর্ভধারিনী মা আয়েশা হাবিবা বিলকিস(৭২)। দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারটি কোনরকম দুবেলা- দু’মুঠো খেয়ে, না খেয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই পরিবারটির। সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সুযোগ্য এসপি মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম (সেবা) এর মানবিক দৃষ্টিতে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুরের অসহায় বৃদ্ধা আয়শা হাবিবা বিলকিস (৬০)। নিজের প্রবাসী মেয়ে তার কোনো খোঁজখবর নেয় না। এমনকি প্রবাসী সেই মেয়ে নিজের মায়ের কাছ থেকে কৌশলে এবং জোর-জবরদস্তি করে জমিজমাও লিখে নিয়েছে। গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধার দিন কাটে খেয়ে না-খেয়ে। এমনকি যে ঘরে বৃদ্ধা ঘুমান, সেই ঘরে কোনো খাট বা চৌকি নেই।
অসহায় বৃদ্ধা আয়শা হাবিবা বিলকিস বর্ণনা করেন তাঁর জীবনের পড়ন্ত বেলার করুণ অধ্যায় পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের কাছে। তিনি বিষয়টি জেনে সার্বিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্য জেলা ডিবির ওসি শাহ কামালকে নির্দেশ দেন। ওসি শাহ কামাল বৃদ্ধার সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ সুপারকে জানান।
গতকাল শুক্রবার ডিবির টিম পৌঁছে যায় গফরগাঁওয়ের রসুলপুরে। সাথে নিয়ে যায় প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। কিন্তু খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সময় ডিবির টিমের চোখে পড়ে বৃদ্ধার ঘুমানোর জন্য ঘরে কোনো খাট বা চৌকি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে বৃদ্ধাকে পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাজার থেকে একটি খাট কিনে দেওয়া হয়। পুলিশের এমন মানবিক আচরণে বৃদ্ধা কেঁদে ফেলেন।

মন্তব্য করুন