স্টাফ রিপোর্টার : ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দিন ব্যাপী কোরঅান পাঠ , দুস্থ ও ছিন্নমুল শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন ও দোয়ার আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ,মহানগর অাওয়ামীলীগ, মহানগর যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ।
অসহায় মানুষদের মাঝে খাবার বিতরন করেন জেলা আওয়ালীগ সভাপতি এড.জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম অাহ্বায়ক শাহ্ শওকত ইসলাম লিটন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান, মহানগর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম রায়হান, ক্রাইম নিউজ৭১.কম সম্পাদক সোহেল গণি, জেলা ছাত্রলীগের নেতা তানভীর যোবায়ের ইসলাম তারিন,মহানগর ছাত্রলীগ নেতা নওশেল আহম্মেদ অনি প্রমুখ।
এদিকে, ময়মনসিংহে যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা আ. লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনে নেতৃবৃন্দ। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এইদিনে খুব ভোরে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
একই সময়ে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এছাড়াও ঐ রাতে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
১৫ই আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হয় ময়মনসিংহে।
