পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। সে জন্য মাঝে মধ্যে পুলিশ প্রয়োজনে অভিযান চালায়। তখন দায়িত্ব পালনে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে থাকে পুলিশ। আটক হলে কিছু করনীয় আছে। সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
তবে তার আগে জানা ভালো, কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে অনির্দিষ্টকাল আটক করে রাখতে পারে না পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হয় বা কোনো আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয়। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনে আটকাদেশ দিতে পারেন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আটক হলে কি করবেন।
১) পুলিশের নিকট নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পেশাজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। তাই সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত।
২) পরিচিত আইনজীবীর ফোন নম্বর সাথে রাখা যেতে পারে। আটকের পর দ্রুত আইনজীবীকে বিষটি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্মীয় বা বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
৩) আটকের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৪) আটকের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন, মোবাইল, টাকা-পয়সা, ক্রেডিট কার্ড, কাগজ ইত্যাদি থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আটককৃত ব্যক্তির সাক্ষর নেয়। সাক্ষর দেয়ার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত।
৫) কোন পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে নেয়া যায়। চেকআপ রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত।
৬) নতুন কোনো মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হলে একজন আইনজীবীর পরামর্শক্রমে জামিন শুনানির চেষ্টা করা যেতে পারে।
৭) ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়। আর যে কোনো থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়।
কখনো পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। যা কিছু করার আইনের মাধ্যমে করবেন।
