দূষিত দেশের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ

0
756

প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু। বিশ্ব যেমন আধুনিক হচ্ছে তেমনি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ। গবেষণা বলছে, সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত নানামাত্রিক দূষণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ দূষণের কারণে প্রতি ছয়জনে মারা গেছেন একজন। আর বিশ্বের সবচাইতে দূষিত দেশের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

দখল-দূষণের কবলে রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী।

২০ অক্টোবর গত  শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট তাদের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে। হিসাবটি মূলত ২০১৫ সালের। হিসাব-তত্ব মিলিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতেই লেগেছে দুই বছর। গবেষণা অনুযায়ী, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি।

বিভিন্ন দূষণের মধ্যে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচাইতে বেশি বলে জানা গেছে। নানামাত্রিক দূষণে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরেই রয়েছে সোমালিয়া। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে চাদ, নাইজেরিয়া, ভারত, নেপাল, দক্ষিণ সুদান। এই তালিকায় দশম স্থানে পাকিস্তান। চীনেও দূষণ বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে।

ল্যানসেটের গবেষণা বলছে, দূষিত দেশগুলোতে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে মানুষজনের মৃত্যু হার দিন দিন বাড়েছে। বিভিন্ন দূষণের মধ্যে বায়ু দূষণই বেশি ক্ষতি করছে বলে বলা হয়েছে। অনুন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতেও দূষণ বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বলা হচ্ছে, দূষণে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাজ্যে।

বিশ্বের ১৮৮ টি দেশের তালিকায় সবচাইতে কম দূষণের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ইসলামী রাষ্ট্র ব্রুনাই। এরপরেই ইউরোপ মহাদেশের সুইডেন এবং তৃতীয় স্থানে ফিনল্যান্ড। বলা হচ্ছে, বিশ্বের দূষণ সবচাইতে বেশি বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ- শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, প্রাণিজ এবং অন্যান্য বর্জ্যসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্য। পাশাপাশি বায়ু, পানি ও শব্দ দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। কাজেই দূষণের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি সমিন্বত উদ্যোগ নেয়া এখনই প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন